দীপ্তি কে মনু দেসাই এর মেইল গুলোর কথা বলার পর প্রায় ঘণ্টা দুই তিন আমরা একটাও কথা বলিনি। রুপাই মাঝে মধ্যে দৌড়ঝাঁপ লাফালাফি করছিল। দীপ্তি ওকে একবারও বকাবকিও করলো না। আমিও টিভি খুলে স্থবিরের মতন নিউজ দেখছিলাম। ২জি ৩জি কতো কিছু নিয়েই টিভি র অ্যাংকর বক বক করে গেল, মাথায় কোনও কিছুই ঢুকছিল না। মাঝে একবার বাথরুমে গিয়ে শিল্পীর বুকের গন্ধ আমার সারা গা থেকে সাবান দিয়ে রগ্রে ধুলাম। দীপ্তির এসব ব্যাপারে নাক খুব সজাগ। এর আগের বার কিছু একটা সন্দেহ করে পাক্কা তিন দিন কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিল। এবারে তাই আর রিস্ক নিলাম না। আমি দেরি করে আসার জন্যে রুপাই কে খাইয়ে দিয়েছিলো। আমাদের খেতে বসতে বসতে প্রায় এগারোটা বেজে গেলো।
-“তাহলে কি যেতেই হবে কালকে?”, আপনমনে রুটি ছিঁড়তে ছিঁড়তে দীপ্তি প্রশ্ন করলো।
-“হ্যা...মানে ও চাইলে আমার...আমাদের অনেক ক্ষতি করে দিতে পারে। ওর সাথে কথা বোলে মিটমাট করে নিতে হবে...”, আমি আমতা আমতা করে উত্তর দিলাম। দীপ্তি এখন বেঁকে বসলে কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে। মনু দেসাই এর সাথে ও যদি একটু হেসে খেলে কথা বোলে পটিয়ে নিতে পারে তাহলে এযাত্রা বিপদ থেকে মুক্তি হবে। যদিও মন বলছে ব্যাপার টা অনেক দূর গড়াবে।
-“ওনার অফিসে গিয়ে মারামারি করার সময় মনে হয়নি মিটমাট করার কথা?”, দীপ্তি মুখ না তুলেই একটু শ্লেষের সাথে জবাব দিল। কথা টা একদম ঠিক আর আমি সেটা গত কয়েক ঘণ্টায় এতবার নিজেকে জিগাসা করেছি যে আর বলার নয়। যদি কোনও টাইম মেশিন থাকতো আর আমি সময় টাকে পিছিয়ে নিয়ে যেতে পারতাম ওই ঘটনাবহুল দিন টাতে, সবকিছু যদি ঠিক করে নেওয়া যেত। একটা গভীর দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে প্রশ্ন করলাম,
-“কি বলল ও তোমাকে ফোন করে?”, অনেকক্ষণ এটা আমার মনে ঘুরপাক খাচ্ছিল।
-“বিশেষ কিছুনা, কালকে যেতে বলল। আমাকে শাড়ি তে নাকি ওর ভালো লাগে তাই সেটাই পড়তে বলল। লাল হলে নাকি ভালো হয়। আমি অনেক কিছু জিগাসা করার চেষ্টা করলাম, কিন্তু ও কোনও কিছু ভালো করে বলার আগেই লাইন কেটে দিল”, দীপ্তির মুখের ভাবভঙ্গী দেখে পরিষ্কার বোঝা গেল মনু দেসাই কে ও দু চক্ষে দেখতে পারে না। লাল শাড়ির কথা তে মনে পড়ল, ওই ভিডিও টাতে দীপ্তি কে লাল বেনারসি তে অপূর্ব লাগছিল, যেন ওই নতুন বউ। ওটা দেখেই হয়তো ওকে লাল শাড়ি পড়তে বলেছে, আবস্য বেনারসি বলেনি। দীপ্তির দিকে ভালো করে তাকালাম। এখনো মাথা নিচু করে খেয়ে যাচ্ছে। রেগুলার মেহেন্দি করে বোলে মাথার হাল্কা কোঁকড়ানো চুল লালচে খয়েরি হয়ে গেছে। কপালের এক কোনায় লাল সিঁদুর। টকটকে ফর্সা মুখে গালের কাছ টা লাল হয়ে আছে। একটু গোলগাল মুখটা খুব মিষ্টি। লাল ফোলা ফোলা ঠোঁট দুটো যাকে বলে কিস করার জন্যে আইডিয়াল। সরু ফিতের নাইটি তে কাঁধ প্রায় উন্মুক্ত। একসময় খুবই স্লিম ছিল, কিন্তু রুপাই হওয়ার পড়ে সামান্য মেদ জমেছে বুকে, পেটে, কোমরে যদিও তাতে আমার বিন্দু মাত্র আপত্তি নেই। আমি যেন অন্য কারোর চোখ দিয়ে আমার বউ এর শরীর মাপছিলাম। বুকের ঢেউ, পরিষ্কার বগল, পাতলা রাত্রিবাসের নিচে মাদকিয় শরীরের আন্দলন সবই যেন আর আমার একার নয়। একান্ত নিজের কিছু কেউ কেড়ে নিলেও কি এরকম হয় নাকি? পাজামার নিচে আমার বাড়া কখন তাবু হয়ে গেছে বুঝিনি। এক হাত দূর থেকে দীপ্তি কে দেখে অনেকদিন পড়ে আমার ভিতরে এরকম উত্তেজনা হল, বাচ্চা হওয়ার পর এই ব্যাপার টা অনেক তাই স্তিমিত হয়ে গেছিলো। আজকে হটাত কি হল?
রাত্রে বিছানায় কামাতুর আমি ঘুমন্ত রুপাই কে ডিঙ্গিয়ে ছুয়েছিলাম দীপ্তির নরম বুক। ঘুম ছিলোনা ওর চোখেও কিন্তু সাড়া দেয়নি আমার আহ্বানে। হতাশ আমি কল্পনায় দুহাত বাঁধা শিল্পীর গুদের গহ্বরে নিজেকে নিংড়ে দিয়ে শান্তি পাওয়ার চেষ্টা করলাম। ছিন্ন বিচ্ছিন্ন কল্পনায় লাবনী, সুজাত এর প্রেগন্যান্ট বউ নির্মলা সবারই শরীর আমার আলিঙ্গনে নগ্ন নির্যাতিতা হল।
বিকেলে দীপ্তি খুঁজেপেতে একটা লাল ঢাকাই জামদানী শাড়ি বের করলো। তার কালো পাড়ের সাথে ম্যাচিং করে একটা স্লিভলেস কালো ব্লাউস পড়ল। ব্লাউস টা একটু টাইট হল দেখলাম ওর, ভারী বুক দুটো গভীর খাঁজ সৃষ্টি করে উপচে পড়ল প্রায় ওপর দিয়ে। কালো সায়া নাভির অনেক নিচ দিয়ে বাঁধল। লাল শাড়ি টা সুন্দর কুঁচি দিয়ে পড়ে বুকের ওপরে প্লিট করে নিল যাতে বুকের খাঁজ সহজে দেখা না যায়। কিন্তু তাতে পেটের ভাঁজ গুলো অনেক টাই দেখা যেতে লাগলো আর কখনো কখনো হাত তুল্লে সুগভীর নাভিও বেরিয়ে পড়ছিল। ডারটি পিকচার এর বিদ্যা বালান এর থেকে কোনও অংশে কম যাবেনা আমার বউ। গলায় মঙ্গলসুত্রের বদলে একটা সরু সোনার চেন পড়ে নিল দীপ্তি। আমার সাথে খুব কম কম কথা বল্লেও ওকে দেখে মনে হচ্ছিলো ভাগ্যের হাতে নিজেকে সঁপে দিয়েছে। রুপাই কে পাশের বাড়ির সোমা বউদির কাছে কয়েক ঘণ্টার জন্যে রাখতে দিয়ে আমরা রওনা দিলাম।
মনু দেসাই ওর অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছিল। আমার গাড়ি দূর থেকে দেখতে পেয়ে এগিয়ে এলো। দীপ্তি আমার পাশে সামনের সিটে বসেছিল। মনু গাড়িতে ঢুকেই একটু গম্ভীর ভাবে বলল,
-“দীপ্তি সুইটহার্ট, পিছনে চলে এসো আমরা গল্প করতে করতে যাই”
দীপ্তি একটা ছোটো নিঃশ্বাস ফেলে মুখের কোনায় একটা নকল হাসি ঝুলিয়ে বাধ্য মেয়ের মতন পিছনের সিটে মনু দেসাই এর পাশে গিয়ে বসলো। মনু একটু সরে গিয়ে ওর গা ঘেঁসে বসে ডান হাত টা দীপ্তির পিছনে সিট এর ওপর দিয়ে নিল। রিয়ার ভিউ মিরর এ দেখলাম দীপ্তি কে প্রায় বগলদাবা করেছে লোকটা।
-“ত্রিঙ্কাস এ চলো, সঞ্জয়” বা হাত দিয়ে দীপ্তির হাতের শাঁখা পলা চুড়ি নেড়ে দিতে দিতে বলল মনু। রিন রিন আওয়াজ টা কানে এলো আমার, শিল্পীর চুড়ির আওয়াজ মনে পড়ে গেলো ক্ষণিকের জন্যে। গাড়ি ছুটিয়ে দিলাম পার্ক স্ট্রীট এর উদ্যেশ্যে।
রাস্তায় খুব একটা জ্যাম যা পাওয়াতে প্রায় আধ ঘণ্টাতেই পৌঁছে গেলাম ত্রিঙ্কাসে। মনু দীপ্তির হাত ধরে বেরতে সাহায্য করলো গাড়ি থেকে যেন ওর ফিয়ান্সে। আগে থেকেই বুক করে রেখেছিল আমাদের তিন জনের জন্যে। ওর যে এখানে অগাধ পরিচিতি সেটা ঢুকেই বুঝতে পারলাম। ওয়েটার, ম্যানেজার সবাই ওকে এক কোথায় চেনে। এমনকি টেবিলে খেতে বসে আছে এরকম কয়েকজন গেস্ট ো দেখলাম উঠে এসে করমর্দন করে গেলো। সবারই চোখ কিন্তু ছিল মনু পাশের সুন্দরী আমার বউ এর দিকে। মনু সকলের সাথেই দীপ্তির আলাপ করিয়ে দিল,
-“শি ইজ দীপ্তি গুহা, মাই মোস্ট বিউটিফুল ফ্রেন্ড!”
কয়েকজন দীপ্তির হাত নিয়ে চুমু খেয়ে দিল। প্রথমবার দীপ্তি একটু থতমত হয়ে গেছিলো কিন্তু তারপরে নিজেকে সামলে নিয়েছিল। বাঙালি ঘরের বউ, প্রথমবার পর পুরুষের ঠোঁট গা ছুল। আমি ওদের পিছন পিছনেই আসছিলাম। কেউই দেখলাম না একবার চোখ তুলেও দেখলও আমার দিকে।
ত্রিঙ্কাসের বারে একটা মেয়ে গান করছে। ভিতর টা আধো অন্ধকারে বেশ মায়াবী পরিবেশ লাগছিল। ওয়েটার, আমাদের কে এক কোনায় প্রাইভেট কুপ টাইপের একটা জায়গায় নিয়ে গেলো। এটা একটু আড়ালে, রেস্তুর*্যান্ত এর বাকি জায়গা থেকে এটা একটু আড়ালে। মাঝখানে একটা টেবিল আর তার চারপাশ জুড়েই বেশ উঁচু সোফা। দীপ্তি সবার আগে ঢুকে একটা কোনায় চলে গেলো। আমাকে চোখের ইশারায় ওর পাশে চলে আস্তে বলল। কিন্তু মনু আমাকে সে সুযোগ দিল না।
-“শি ইস মাই গেস্ট অফ অনার”, আমার কাঁধে একটু ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে মনু দীপ্তির পাশে গিয়ে বসল। বা হাত এবারে ওর কাঁধের ওপরেই রাখল দেখলাম। দীপ্তি একটু কুঁচকে কোনার দিকে সরে যাওয়ার চেষ্টা করল ওর ছোঁয়া এড়ানোর জন্যে। কিন্তু মনুর থ্যাবড়া হাতের মোটা মোটা আঙ্গুল গুলো দীপ্তির কাঁধ কে আঁকড়ে ধরেছে তখন। নিরুপায় দীপ্তি নিজেকে ওর হাতে ছেড়ে দিল। আমি ওদের উল্টো দিকে বসে মেনু কার্ড দেখার অজুহাতে নিজেকে ব্যাস্ত রাখলাম।
“আই এম সরি মিস্টার দেসাই! আমার ওসব করা উচিত হয়নি”, স্টারটার খেতে খেতে আমি কথা টা তুল্লাম। মনু একদৃষ্টি তে দীপ্তির দিকে তাকিয়ে ছিল। দীপ্তি কোনোদিকে না তাকিয়ে মাথা নিচু করে প্লেটের পনির কাবাব নিয়ে খুতে যাচ্ছিল। লোকটা পুরো পরিস্থিতি তাকেই চূড়ান্ত অস্বস্তিকর করে রেখেছে।
“সরি ইয়উ দেফিনিতলি আর, কোনও সন্দেহই নেই। কিন্তু আমার রেপুটেশন বলে একটা ব্যাপার আছে তো। আজ পর্যন্ত আমার সাথে এরকম ব্যাবহার করার সাহস কেউ পায়নি। আর যে করল টাকে শুধু সরি তে ছেড়ে দিলে লোকে কি বলবে। কি বল দীপ্তি? হোয়াট ডু ইয়উ সে?”মনুর বা হাত টেবিলের তলায় নড়ে উঠল। দীপ্তি কোনও উত্তর না দিয়ে হটাত সটান হয়ে বসল। বুঝতে পারলাম মনুর হাত হয়তো এখন দীপ্তির থাই এর ওপরে খেলা করছে।
“ইয়উ আর ইন ডিপ শিট সঞ্জয়!”। আমি তখনো মনুর হাতের নড়াচড়া আন্দাজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। দীপ্তি খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। রেস্তুরান্ত এর ভিতরের কড়া এসি তেও আমার কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম।
“কোনও কি উপায় নেই যে ব্যাপার টা মিটমাট হতে পারে”, আমি অসহায় এর মতন জিগাসা করলাম। মনু দেসাই এর মতন নরখাদকের কাছে মায়া দয়া আশা করা বৃথা। তা সত্ত্বেও ডোবার আগে খড়কুটো আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করলাম।
“তোমার ভিডিও টা আমার দু এক জন বন্ধু কে দেখালাম। তারা সবাই বলল বাজারে ছাড়লে কোটিপতি হয়ে যাবে। দে হ্যাভ নেভার সিন সাচ আ বিউটি লাইক ইয়উ, ডার্লিং”, আমার কথার কোনও উত্তর না দিয়ে মনু দীপ্তির উদ্দশ্যে কথা গুলো বলল। ওর হাত এখন দীপ্তির থাই থেকে সরে কানের ঝুমক টা নিয়ে নাড়াচাড়া করছে। দীপ্তি একটা শুকনো হাসি দিয়ে নিজের লজ্জা ঢাকার চেষ্টা করলো। আধো অন্ধকারেই বুঝতে পারলাম ওর মুখ চোখ লাল হয়ে গেছে।
“আই ক্যান ফিক্স ইওর লাইফ, ইফ ইয়উ ওয়ান্ত মি টু...স্টেপ বাই স্টেপ...আই প্রমিস...”দীপ্তির ঘাড় থেকে চুল সরাতে সরাতে বলল মনু। দীপ্তির ব্লাউসের পিঠ অনেকটা খোলা। মনুর বেয়াড়া হাত ওর পিঠে ঘুরে বেরাতে লাগলো। ওর হাতে যেন অঢেল সময় আমার দীপ্তি কে একটু একটু করে ছুঁয়ে দেখার। “...বাট আই উড আস্ক ফর সামথিংস ইন রিটার্ন”, আমি আর দীপ্তি দুজনেই জিজ্ঞাসু চোখে ওর দিকে তাকালাম।
-“কি চান আপনি?” আমি একটু অধির হয়েই প্রশ্ন করলাম।
-“কোনও ঠিক নেই...যখন যা মনে হয়। যেমন এখন আমার মেন কোর্স খেতে ইচ্ছে করছে”, মনু হাত বাড়িয়ে দীপ্তির কোমর জড়িয়ে আরও কাছে টেনে আনল।
-“তোমাদের ইচ্ছে না করলে কোনও ব্যাপার নয়। আই উইল সি ইয়উ ইন কোর্ট অ্যান্ড দিস ডার্লিং ইন ইন্টারনেট”, দীপ্তি কে একটু ঝাঁকিয়ে দিল মনু। ওর বা হাতের চেটো আমার বউ এর নাভির কাছ টা আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করছে।
-“আই উইল গিভ ইয়ু ফাইভ মিনিটস টু দিসাইদ। এক্সকিয়ুজ মি... আই নিড টু গো টু টয়লেট রিয়াল কুইক”, আমাকে আর দীপ্তি কে একলা রেখে মনু উঠে চলে গেলো।
-“আমরা চলে যাই চলো এখুনি”, আমি উঠে দাঁড়িয়ে বললাম। আমার গা হাত পা রাগে ক্ষোভে কাঁপছে। লোকটার দুঃসাহস সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে।
-“আর তারপরে কি করবে?”দীপ্তির গলা টা একটু কেঁপে গেলো যেন। কাদছে নাকি ও? কিন্তু সত্যিই তো, তারপরে আমি কি করবো? বাজারে আমার কোটি টাঁকার দেনা। বাড়ি ঘর সব কিছুই হয়তো চলে যাবে হাত থেকে মাস ছয়েকের মধ্যে। আমি ধপ করে বসে পড়লাম সিট এ। শূন্য দৃষ্টি তে চেয়ে থাকলাম দীপ্তির দিকে। “তুমি কি পারবে?”, নির্লজ্জের মতন প্রশ্ন করলাম আমি ওকে। দীপ্তি হাত বাড়িয়ে আমার হাত শক্ত করে ধরে বলল, “তুমি সবসময় আমার পাশে থেকো প্লীজ। এটা আমাদের জন্যে...”, ওর গলা বুজে এলো কান্নায়।
-“ওহ তোমরা আছ এখনও, তারমানে আশা করছি দুজনেই রাজি। সো দা ডিল ইজ অন। লেটস গো দেন”, দীপ্তির হাত ধরে টেনে তুলল লোকটা। বিকেলের সম্ভ্রম টা এখন অনেকটাই গেছে। প্রায় ছেঁচড়ে ছেঁচড়ে নিয়ে গেলো বাইরে। রাস্তার অনেকেই ঘুরে ঘুরে তাকাচ্ছিল ব্যাপার টা আন্দাজ করার জন্যে। দীপ্তি কোনও মতে এক হাতে আঁচল টা চেপে ধরে নিজের আব্রু রক্ষা করছিল।
-“আমার সাড়ে এগারোটায় ফ্লাইট আছে। কদিনের জন্যে বাইরে যাচ্ছি। তার আগে অফিস থেকে কিছু কাগজ পত্র নিতে। লেতস গো দেয়ার। তারপরে ওখান থেকে তোমরা বাড়ি চলে যেও”, মনু নির্দেশ দিল আমাকে। আমি নির্বাকে গাড়িতে স্টার্ট দিলাম। রিয়ার ভিউ তে দেখলাম মনু দীপ্তি তে সিটে শুইয়ে দিল আর তারপরে নিজের দশাসই শরীর টা ওর ওপরে ঢেলে দিল। কাচে আর কিছু দেখা যাচ্ছিলো না কিন্ত কানে আসছিল এক নাগারে ভেজা চুমু খাওয়ার শব্দ আর দীপ্তির হাতের চুড়ির আওয়াজ। আমি কল্পনা করলাম মনু ওর মোটা কালো ঠোঁট দিয়ে আমার সুন্দরী দীপ্তির ঠোঁট চুষে খাচ্ছে। আমি দ্রুত গতিতে গাড়ি ছুটিয়ে দিলাম সল্ট লেকের দিকে।
-“তাহলে কি যেতেই হবে কালকে?”, আপনমনে রুটি ছিঁড়তে ছিঁড়তে দীপ্তি প্রশ্ন করলো।
-“হ্যা...মানে ও চাইলে আমার...আমাদের অনেক ক্ষতি করে দিতে পারে। ওর সাথে কথা বোলে মিটমাট করে নিতে হবে...”, আমি আমতা আমতা করে উত্তর দিলাম। দীপ্তি এখন বেঁকে বসলে কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে। মনু দেসাই এর সাথে ও যদি একটু হেসে খেলে কথা বোলে পটিয়ে নিতে পারে তাহলে এযাত্রা বিপদ থেকে মুক্তি হবে। যদিও মন বলছে ব্যাপার টা অনেক দূর গড়াবে।
-“ওনার অফিসে গিয়ে মারামারি করার সময় মনে হয়নি মিটমাট করার কথা?”, দীপ্তি মুখ না তুলেই একটু শ্লেষের সাথে জবাব দিল। কথা টা একদম ঠিক আর আমি সেটা গত কয়েক ঘণ্টায় এতবার নিজেকে জিগাসা করেছি যে আর বলার নয়। যদি কোনও টাইম মেশিন থাকতো আর আমি সময় টাকে পিছিয়ে নিয়ে যেতে পারতাম ওই ঘটনাবহুল দিন টাতে, সবকিছু যদি ঠিক করে নেওয়া যেত। একটা গভীর দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে প্রশ্ন করলাম,
-“কি বলল ও তোমাকে ফোন করে?”, অনেকক্ষণ এটা আমার মনে ঘুরপাক খাচ্ছিল।
-“বিশেষ কিছুনা, কালকে যেতে বলল। আমাকে শাড়ি তে নাকি ওর ভালো লাগে তাই সেটাই পড়তে বলল। লাল হলে নাকি ভালো হয়। আমি অনেক কিছু জিগাসা করার চেষ্টা করলাম, কিন্তু ও কোনও কিছু ভালো করে বলার আগেই লাইন কেটে দিল”, দীপ্তির মুখের ভাবভঙ্গী দেখে পরিষ্কার বোঝা গেল মনু দেসাই কে ও দু চক্ষে দেখতে পারে না। লাল শাড়ির কথা তে মনে পড়ল, ওই ভিডিও টাতে দীপ্তি কে লাল বেনারসি তে অপূর্ব লাগছিল, যেন ওই নতুন বউ। ওটা দেখেই হয়তো ওকে লাল শাড়ি পড়তে বলেছে, আবস্য বেনারসি বলেনি। দীপ্তির দিকে ভালো করে তাকালাম। এখনো মাথা নিচু করে খেয়ে যাচ্ছে। রেগুলার মেহেন্দি করে বোলে মাথার হাল্কা কোঁকড়ানো চুল লালচে খয়েরি হয়ে গেছে। কপালের এক কোনায় লাল সিঁদুর। টকটকে ফর্সা মুখে গালের কাছ টা লাল হয়ে আছে। একটু গোলগাল মুখটা খুব মিষ্টি। লাল ফোলা ফোলা ঠোঁট দুটো যাকে বলে কিস করার জন্যে আইডিয়াল। সরু ফিতের নাইটি তে কাঁধ প্রায় উন্মুক্ত। একসময় খুবই স্লিম ছিল, কিন্তু রুপাই হওয়ার পড়ে সামান্য মেদ জমেছে বুকে, পেটে, কোমরে যদিও তাতে আমার বিন্দু মাত্র আপত্তি নেই। আমি যেন অন্য কারোর চোখ দিয়ে আমার বউ এর শরীর মাপছিলাম। বুকের ঢেউ, পরিষ্কার বগল, পাতলা রাত্রিবাসের নিচে মাদকিয় শরীরের আন্দলন সবই যেন আর আমার একার নয়। একান্ত নিজের কিছু কেউ কেড়ে নিলেও কি এরকম হয় নাকি? পাজামার নিচে আমার বাড়া কখন তাবু হয়ে গেছে বুঝিনি। এক হাত দূর থেকে দীপ্তি কে দেখে অনেকদিন পড়ে আমার ভিতরে এরকম উত্তেজনা হল, বাচ্চা হওয়ার পর এই ব্যাপার টা অনেক তাই স্তিমিত হয়ে গেছিলো। আজকে হটাত কি হল?
রাত্রে বিছানায় কামাতুর আমি ঘুমন্ত রুপাই কে ডিঙ্গিয়ে ছুয়েছিলাম দীপ্তির নরম বুক। ঘুম ছিলোনা ওর চোখেও কিন্তু সাড়া দেয়নি আমার আহ্বানে। হতাশ আমি কল্পনায় দুহাত বাঁধা শিল্পীর গুদের গহ্বরে নিজেকে নিংড়ে দিয়ে শান্তি পাওয়ার চেষ্টা করলাম। ছিন্ন বিচ্ছিন্ন কল্পনায় লাবনী, সুজাত এর প্রেগন্যান্ট বউ নির্মলা সবারই শরীর আমার আলিঙ্গনে নগ্ন নির্যাতিতা হল।
বিকেলে দীপ্তি খুঁজেপেতে একটা লাল ঢাকাই জামদানী শাড়ি বের করলো। তার কালো পাড়ের সাথে ম্যাচিং করে একটা স্লিভলেস কালো ব্লাউস পড়ল। ব্লাউস টা একটু টাইট হল দেখলাম ওর, ভারী বুক দুটো গভীর খাঁজ সৃষ্টি করে উপচে পড়ল প্রায় ওপর দিয়ে। কালো সায়া নাভির অনেক নিচ দিয়ে বাঁধল। লাল শাড়ি টা সুন্দর কুঁচি দিয়ে পড়ে বুকের ওপরে প্লিট করে নিল যাতে বুকের খাঁজ সহজে দেখা না যায়। কিন্তু তাতে পেটের ভাঁজ গুলো অনেক টাই দেখা যেতে লাগলো আর কখনো কখনো হাত তুল্লে সুগভীর নাভিও বেরিয়ে পড়ছিল। ডারটি পিকচার এর বিদ্যা বালান এর থেকে কোনও অংশে কম যাবেনা আমার বউ। গলায় মঙ্গলসুত্রের বদলে একটা সরু সোনার চেন পড়ে নিল দীপ্তি। আমার সাথে খুব কম কম কথা বল্লেও ওকে দেখে মনে হচ্ছিলো ভাগ্যের হাতে নিজেকে সঁপে দিয়েছে। রুপাই কে পাশের বাড়ির সোমা বউদির কাছে কয়েক ঘণ্টার জন্যে রাখতে দিয়ে আমরা রওনা দিলাম।
মনু দেসাই ওর অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছিল। আমার গাড়ি দূর থেকে দেখতে পেয়ে এগিয়ে এলো। দীপ্তি আমার পাশে সামনের সিটে বসেছিল। মনু গাড়িতে ঢুকেই একটু গম্ভীর ভাবে বলল,
-“দীপ্তি সুইটহার্ট, পিছনে চলে এসো আমরা গল্প করতে করতে যাই”
দীপ্তি একটা ছোটো নিঃশ্বাস ফেলে মুখের কোনায় একটা নকল হাসি ঝুলিয়ে বাধ্য মেয়ের মতন পিছনের সিটে মনু দেসাই এর পাশে গিয়ে বসলো। মনু একটু সরে গিয়ে ওর গা ঘেঁসে বসে ডান হাত টা দীপ্তির পিছনে সিট এর ওপর দিয়ে নিল। রিয়ার ভিউ মিরর এ দেখলাম দীপ্তি কে প্রায় বগলদাবা করেছে লোকটা।
-“ত্রিঙ্কাস এ চলো, সঞ্জয়” বা হাত দিয়ে দীপ্তির হাতের শাঁখা পলা চুড়ি নেড়ে দিতে দিতে বলল মনু। রিন রিন আওয়াজ টা কানে এলো আমার, শিল্পীর চুড়ির আওয়াজ মনে পড়ে গেলো ক্ষণিকের জন্যে। গাড়ি ছুটিয়ে দিলাম পার্ক স্ট্রীট এর উদ্যেশ্যে।
রাস্তায় খুব একটা জ্যাম যা পাওয়াতে প্রায় আধ ঘণ্টাতেই পৌঁছে গেলাম ত্রিঙ্কাসে। মনু দীপ্তির হাত ধরে বেরতে সাহায্য করলো গাড়ি থেকে যেন ওর ফিয়ান্সে। আগে থেকেই বুক করে রেখেছিল আমাদের তিন জনের জন্যে। ওর যে এখানে অগাধ পরিচিতি সেটা ঢুকেই বুঝতে পারলাম। ওয়েটার, ম্যানেজার সবাই ওকে এক কোথায় চেনে। এমনকি টেবিলে খেতে বসে আছে এরকম কয়েকজন গেস্ট ো দেখলাম উঠে এসে করমর্দন করে গেলো। সবারই চোখ কিন্তু ছিল মনু পাশের সুন্দরী আমার বউ এর দিকে। মনু সকলের সাথেই দীপ্তির আলাপ করিয়ে দিল,
-“শি ইজ দীপ্তি গুহা, মাই মোস্ট বিউটিফুল ফ্রেন্ড!”
কয়েকজন দীপ্তির হাত নিয়ে চুমু খেয়ে দিল। প্রথমবার দীপ্তি একটু থতমত হয়ে গেছিলো কিন্তু তারপরে নিজেকে সামলে নিয়েছিল। বাঙালি ঘরের বউ, প্রথমবার পর পুরুষের ঠোঁট গা ছুল। আমি ওদের পিছন পিছনেই আসছিলাম। কেউই দেখলাম না একবার চোখ তুলেও দেখলও আমার দিকে।
ত্রিঙ্কাসের বারে একটা মেয়ে গান করছে। ভিতর টা আধো অন্ধকারে বেশ মায়াবী পরিবেশ লাগছিল। ওয়েটার, আমাদের কে এক কোনায় প্রাইভেট কুপ টাইপের একটা জায়গায় নিয়ে গেলো। এটা একটু আড়ালে, রেস্তুর*্যান্ত এর বাকি জায়গা থেকে এটা একটু আড়ালে। মাঝখানে একটা টেবিল আর তার চারপাশ জুড়েই বেশ উঁচু সোফা। দীপ্তি সবার আগে ঢুকে একটা কোনায় চলে গেলো। আমাকে চোখের ইশারায় ওর পাশে চলে আস্তে বলল। কিন্তু মনু আমাকে সে সুযোগ দিল না।
-“শি ইস মাই গেস্ট অফ অনার”, আমার কাঁধে একটু ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে মনু দীপ্তির পাশে গিয়ে বসল। বা হাত এবারে ওর কাঁধের ওপরেই রাখল দেখলাম। দীপ্তি একটু কুঁচকে কোনার দিকে সরে যাওয়ার চেষ্টা করল ওর ছোঁয়া এড়ানোর জন্যে। কিন্তু মনুর থ্যাবড়া হাতের মোটা মোটা আঙ্গুল গুলো দীপ্তির কাঁধ কে আঁকড়ে ধরেছে তখন। নিরুপায় দীপ্তি নিজেকে ওর হাতে ছেড়ে দিল। আমি ওদের উল্টো দিকে বসে মেনু কার্ড দেখার অজুহাতে নিজেকে ব্যাস্ত রাখলাম।
“আই এম সরি মিস্টার দেসাই! আমার ওসব করা উচিত হয়নি”, স্টারটার খেতে খেতে আমি কথা টা তুল্লাম। মনু একদৃষ্টি তে দীপ্তির দিকে তাকিয়ে ছিল। দীপ্তি কোনোদিকে না তাকিয়ে মাথা নিচু করে প্লেটের পনির কাবাব নিয়ে খুতে যাচ্ছিল। লোকটা পুরো পরিস্থিতি তাকেই চূড়ান্ত অস্বস্তিকর করে রেখেছে।
“সরি ইয়উ দেফিনিতলি আর, কোনও সন্দেহই নেই। কিন্তু আমার রেপুটেশন বলে একটা ব্যাপার আছে তো। আজ পর্যন্ত আমার সাথে এরকম ব্যাবহার করার সাহস কেউ পায়নি। আর যে করল টাকে শুধু সরি তে ছেড়ে দিলে লোকে কি বলবে। কি বল দীপ্তি? হোয়াট ডু ইয়উ সে?”মনুর বা হাত টেবিলের তলায় নড়ে উঠল। দীপ্তি কোনও উত্তর না দিয়ে হটাত সটান হয়ে বসল। বুঝতে পারলাম মনুর হাত হয়তো এখন দীপ্তির থাই এর ওপরে খেলা করছে।
“ইয়উ আর ইন ডিপ শিট সঞ্জয়!”। আমি তখনো মনুর হাতের নড়াচড়া আন্দাজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। দীপ্তি খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। রেস্তুরান্ত এর ভিতরের কড়া এসি তেও আমার কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম।
“কোনও কি উপায় নেই যে ব্যাপার টা মিটমাট হতে পারে”, আমি অসহায় এর মতন জিগাসা করলাম। মনু দেসাই এর মতন নরখাদকের কাছে মায়া দয়া আশা করা বৃথা। তা সত্ত্বেও ডোবার আগে খড়কুটো আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করলাম।
“তোমার ভিডিও টা আমার দু এক জন বন্ধু কে দেখালাম। তারা সবাই বলল বাজারে ছাড়লে কোটিপতি হয়ে যাবে। দে হ্যাভ নেভার সিন সাচ আ বিউটি লাইক ইয়উ, ডার্লিং”, আমার কথার কোনও উত্তর না দিয়ে মনু দীপ্তির উদ্দশ্যে কথা গুলো বলল। ওর হাত এখন দীপ্তির থাই থেকে সরে কানের ঝুমক টা নিয়ে নাড়াচাড়া করছে। দীপ্তি একটা শুকনো হাসি দিয়ে নিজের লজ্জা ঢাকার চেষ্টা করলো। আধো অন্ধকারেই বুঝতে পারলাম ওর মুখ চোখ লাল হয়ে গেছে।
“আই ক্যান ফিক্স ইওর লাইফ, ইফ ইয়উ ওয়ান্ত মি টু...স্টেপ বাই স্টেপ...আই প্রমিস...”দীপ্তির ঘাড় থেকে চুল সরাতে সরাতে বলল মনু। দীপ্তির ব্লাউসের পিঠ অনেকটা খোলা। মনুর বেয়াড়া হাত ওর পিঠে ঘুরে বেরাতে লাগলো। ওর হাতে যেন অঢেল সময় আমার দীপ্তি কে একটু একটু করে ছুঁয়ে দেখার। “...বাট আই উড আস্ক ফর সামথিংস ইন রিটার্ন”, আমি আর দীপ্তি দুজনেই জিজ্ঞাসু চোখে ওর দিকে তাকালাম।
-“কি চান আপনি?” আমি একটু অধির হয়েই প্রশ্ন করলাম।
-“কোনও ঠিক নেই...যখন যা মনে হয়। যেমন এখন আমার মেন কোর্স খেতে ইচ্ছে করছে”, মনু হাত বাড়িয়ে দীপ্তির কোমর জড়িয়ে আরও কাছে টেনে আনল।
-“তোমাদের ইচ্ছে না করলে কোনও ব্যাপার নয়। আই উইল সি ইয়উ ইন কোর্ট অ্যান্ড দিস ডার্লিং ইন ইন্টারনেট”, দীপ্তি কে একটু ঝাঁকিয়ে দিল মনু। ওর বা হাতের চেটো আমার বউ এর নাভির কাছ টা আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করছে।
-“আই উইল গিভ ইয়ু ফাইভ মিনিটস টু দিসাইদ। এক্সকিয়ুজ মি... আই নিড টু গো টু টয়লেট রিয়াল কুইক”, আমাকে আর দীপ্তি কে একলা রেখে মনু উঠে চলে গেলো।
-“আমরা চলে যাই চলো এখুনি”, আমি উঠে দাঁড়িয়ে বললাম। আমার গা হাত পা রাগে ক্ষোভে কাঁপছে। লোকটার দুঃসাহস সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে।
-“আর তারপরে কি করবে?”দীপ্তির গলা টা একটু কেঁপে গেলো যেন। কাদছে নাকি ও? কিন্তু সত্যিই তো, তারপরে আমি কি করবো? বাজারে আমার কোটি টাঁকার দেনা। বাড়ি ঘর সব কিছুই হয়তো চলে যাবে হাত থেকে মাস ছয়েকের মধ্যে। আমি ধপ করে বসে পড়লাম সিট এ। শূন্য দৃষ্টি তে চেয়ে থাকলাম দীপ্তির দিকে। “তুমি কি পারবে?”, নির্লজ্জের মতন প্রশ্ন করলাম আমি ওকে। দীপ্তি হাত বাড়িয়ে আমার হাত শক্ত করে ধরে বলল, “তুমি সবসময় আমার পাশে থেকো প্লীজ। এটা আমাদের জন্যে...”, ওর গলা বুজে এলো কান্নায়।
-“ওহ তোমরা আছ এখনও, তারমানে আশা করছি দুজনেই রাজি। সো দা ডিল ইজ অন। লেটস গো দেন”, দীপ্তির হাত ধরে টেনে তুলল লোকটা। বিকেলের সম্ভ্রম টা এখন অনেকটাই গেছে। প্রায় ছেঁচড়ে ছেঁচড়ে নিয়ে গেলো বাইরে। রাস্তার অনেকেই ঘুরে ঘুরে তাকাচ্ছিল ব্যাপার টা আন্দাজ করার জন্যে। দীপ্তি কোনও মতে এক হাতে আঁচল টা চেপে ধরে নিজের আব্রু রক্ষা করছিল।
-“আমার সাড়ে এগারোটায় ফ্লাইট আছে। কদিনের জন্যে বাইরে যাচ্ছি। তার আগে অফিস থেকে কিছু কাগজ পত্র নিতে। লেতস গো দেয়ার। তারপরে ওখান থেকে তোমরা বাড়ি চলে যেও”, মনু নির্দেশ দিল আমাকে। আমি নির্বাকে গাড়িতে স্টার্ট দিলাম। রিয়ার ভিউ তে দেখলাম মনু দীপ্তি তে সিটে শুইয়ে দিল আর তারপরে নিজের দশাসই শরীর টা ওর ওপরে ঢেলে দিল। কাচে আর কিছু দেখা যাচ্ছিলো না কিন্ত কানে আসছিল এক নাগারে ভেজা চুমু খাওয়ার শব্দ আর দীপ্তির হাতের চুড়ির আওয়াজ। আমি কল্পনা করলাম মনু ওর মোটা কালো ঠোঁট দিয়ে আমার সুন্দরী দীপ্তির ঠোঁট চুষে খাচ্ছে। আমি দ্রুত গতিতে গাড়ি ছুটিয়ে দিলাম সল্ট লেকের দিকে।
রাস্তায় গাড়ি চালাতে আমার যারপরনাই অসুবিধে হল। বার বার মন চলে যাচ্ছিল পিছনের সীটের ধস্তাধস্তির শব্দে। কাচে শুধু মনুর কালো কোট এর নড়াচড়া দেখা যাচ্ছিল। পার্ক সার্কাস কানেক্টর দিয়ে আসার সময় বার কয়েক ঘাড় ঘুড়িয়ে তাকিয়ে ছিলাম। মনুর টাক মাথা দেখতে পেলাম দীপ্তির আবরণহীন পেটের ওপরে। দুহাত দিয়ে চেপে ধরে রয়েছে দীপ্তির দুটো হাত আর নির্বিচারে জিভ ঢুকিয়ে দিয়েছে ওর চেরা গভীর নাভির ভিতরে। দীপ্তি উঠে বসার চেষ্টা করে যাচ্ছিলো কিন্তু পেরে উঠছিল না। প্রতিটা মুহূর্ত যেন আমার কাছে এক এক ঘণ্টা বলে মনে হচ্ছিল। এই নোংরা কদাকার লোকটা আমার বউ এর শরীরে কাঁদা ঘাঁটছে সেটা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছিলো। খারাপ লাগছিল দীপ্তির কথা ভেবে। সায়েন্স সিটির মোড় থেকে যখন বাদিক নিলাম, পিছনের শব্দ বন্ধ হয়ে গেলো। আয়নায় দেখলাম মনু উঠে বসেছে। দিপ্তিও উঠে বসে গায়ের আঁচল ঠিক করে নিল। চুল অবিন্যাস্ত হয়ে গেছে ওর। মনু ওকে এক হাতে জড়িয়ে বুকের সাথে লেপটে রাখল।
মনুর অফিসের পারকিং লট তখন প্রায় ফাঁকা। ঘড়িতে দেখলাম পউনে নটা বাজে। এখান থেকে এয়ারপোর্ট প্রায় আধঘণ্টা। সাড়ে এগারোটার প্লেন ধরতে হলে মনু কে এখান থেকে দশটা সোয়া দশটার মধ্যে বেরিয়ে যেতে হবে। এই দেড় ঘণ্টা কি করবে ও অফিসে? আমি গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ করলাম না, ভাবলাম এখুনি তো বেরিয়ে যাব। কিন্তু ওর মনে অন্য রকম প্ল্যান ছিল। ও দীপ্তি কে সাথে নিয়েই গাড়ি থেকে নামল আর ওর হাত ধরে টানতে টানতে বিল্ডিং এর দিকে হাঁটা দিল। আমিও অগত্যা গাড়ি লক করে ওদের পিছন পিছন ছুট লাগালাম। ওর অফিসের ভিতরে তখনো দুতিন জন ছেলে ছোকরা ছিল। তাদের দু একজন কে আমি চিন্তেও পারলাম। আগের দিন ওদের সাথে আমার ধাক্কাধাক্কি হয়েছিলো। ওরা নিজেদের কিউব থেকে উঠে দাঁড়িয়ে অবাক হয়ে আমাদের কে দেখতে লাগলো। বিস্ত্রস্ত বসনা এক সুন্দরী কে মনু দেসাই হেঁচড়াতে হেঁচড়াতে নিজের কেবিন এর দিকে নিয়ে যাচ্ছে আর তার ফুট দু তিনেক পিছনে আমি বেকুবের মতন ছুটে যাচ্ছি সেটা দেখে দুয়ে দুয়ে চার করতে কারোরই খুব একটা দেরি হওয়ার কথা নয়। মনু নিজের ঘরে ঢুকে ঝড়ের বেগে নিজের সুটকেস গুছিয়ে নিতে লাগল। দীপ্তি ওর টেবিলের এক কোনায় কি করবে বুঝতে না পেরে চুপ করে দাঁড়িয়ে ছিল। আমি দরজা তা বন্ধ করে দিলাম। তারপরে কি মনে হল ওর কেবিন এর কাচের জানালার ব্লাইনডার গুলো নামিয়ে দিলাম। কারণ অফিসের বেশ কিছু উতসুক মুখ উঁকি ঝুঁকি মারছিল দেখতে পারছিলাম। দীপ্তি দেখলাম আমার দিকে ভুরূ কুঁচকে রাগ রাগ চোখে ইশারা করলো কেন আমি সব বন্ধ করে দিলাম। যেন খোলা কাচের জানালাটাই ওর একমাত্র ভরসা আব্রু রাখার জন্যে। কিন্তু মনু দেসাই কে এই কদিনে যেটুকু চিনেছি তাতে এসবের পরোয়া ও করে বলে মনে হয়না। আমাকে ওর বাকি অফিসের লোক জনের সামনে চূড়ান্ত অপমান করতে এক মুহূর্ত ভাববে না।
চার পাচ মিনিটের মধ্যে মনু ওর ব্যাগ গুছিয়ে নিল। গায়ের কোট টা খুলে হ্যাঙ্গার এ ঝুলিয়ে এসি টা ফুল করে দিল। লোক টা দর দর করে ঘামছে উত্তেজনায়। আমি এক কোনায় চেয়ারে বসে পড়লাম। ও কি করতে চলেছে কিছু বুঝতে পারছিলাম না। দীপ্তির মুখের ভাব দেখেও একই জিনিস মনে হল। ও মনুর হাবভাব দেখে আন্দাজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছে এর পড়ে কি হবে।
মনু খুব একটা সময় নষ্ট করলো না। দীপ্তির সামনে এসে দাঁড়িয়ে ওকে কাছে টেনে নিল। তারপরে গুঁফো ঠোঁট গুঁজে দিল দীপ্তির পুরুষ্টু ঠোঁটে। প্রথমে ওর ওপরের ঠোঁটে আলতো আলতো করে কামড়ানোর পর নিচের ঠোঁট টা মুখে ভিতরে ঢুকিয়ে নিল। দীপ্তি চোখ বন্ধ করে নিজেকে ছেড়ে দিয়েছে। ওর দুই হাত মনুর বুকের ওপরে রেখেছে একটু দূরত্ব তৈরি করার জন্য। কিন্তু দূরত্ব মন্র পছন্দ নয়। দীপ্তির লোভনীয় শরীর হাতের মুঠোয় পেয়ে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারছিলনা। দুহাত দিয়ে দীপ্তির গাল চেপে ধরে ওর মুখের ভিতরে নিজের জিভ ঢুকিয়ে দিল। আমার বউ কে আমার সামনে কেউ এভাবে ফ্রেঞ্চ কিস করবে ভাবিনি কখনো। সব কিছুরি প্রথম দিন হয়। দীপ্তি টেবিলের গায়ে হেলান দিয়ে দুহাত ওর ওপরে রেখে নিজের ব্যালান্স রাখার চেষ্টা করলো। মনুর ঠোঁট খাওয়া যেন শেষই হচ্ছিলো না। ঘরের ভিতর টা ওদের চুমু খাওয়ার শব্দে ভরে গেছিলো। আমার ভয় লাগতে শুরু করলো এই আওয়াজ গুলো বাইরে যাচ্ছে নাকি? বাইরের লোক গুলো কি তাহলে বুঝতে পেরে গেলো ভিতরে কি হচ্ছে?
মনু চুমু খাওয়া থামিয়ে দীপ্তির গালে গলায় নাক ঘসে ঘসে গন্ধ শুঁকতে লাগলো। ডান হাত দিয়ে আচলের তলা দিয়েই বা দিকের স্তন টিপে টিপে ধরতে লাগলো। আমি অনুভব করলাম যে আমার বাড়া প্রচণ্ড উত্তেজিত হয়ে নিজের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে। আচলের আবরন বেশীক্ষণ টিকলো না। টাইট ব্লাউসে কোনও মতে আটকে থাকা দীপ্তির বিরাট স্তন যুগল কে উন্মোচিত করে আঁচল খসে পড়ল। দীপ্তির বুক হাপরের মতন ওঠা নামা করছে। অপার্থিব লাগছিল ওর নরম বুকের নড়াচড়া, নগ্ন নাভির কম্পন দেখতে। মনে হচ্ছিলো যেন কোনও সিনেমা দেখছি। মনুর ঠোঁট দীপ্তির গলায় ছোটো ছোটো কামড়ের দাগ করতে করতে বুকের গভীর খাঁজে নেমে এলো। দুহাতে দীপ্তির দুটো দুধ ব্লাউসের ওপর দিয়েও খুব জোরে জোরে টিপতে টিপতে বুকের মাংসে দাঁত বসাতে লাগলো পাগলের মতন। দীপ্তি বুক নাড়িয়ে চাড়িয়ে মনুর হাত স্তন থেকে ঝেড়ে ফেলার ব্যর্থ চেষ্টা করে যেতে লাগলো। মনু দীপ্তি কে চিত করে শুইয়ে দিল ওর টেবিলে। মনুর লালসাসিক্ত দাঁত আর জিভ দীপ্তির নাভির চারপাশে একের পর এক কামড় বসাতে লাগলো যেন মাংস ছিরে খাবে। ওর দুহাত তখনো দীপ্তির বুকের ওপরে সজোরে টিপে যাচ্ছে নরম মাই।
“আহহহ ব্যথা লাগছে...”, দীপ্তি একবার ককিয়ে উঠল। কথা টা মনুর কানে গেলো কিনা জানিনা, টেপা বন্ধ করে আবার ও দীপ্তির বুকের কাছে উঠে গেলো। ব্লাউসের ওপর দিয়েও কামরাতে চুষতে শুরু করলো ওর বুক। ওর লালায় ভিজে যেতে দেখলাম দীপ্তির জামা, বুক। বেশ কিছুক্ষন ব্লাউস নিয়ে খেলা করার পর ওর মন ভরে গেলো বোধহয়, পড়পড় শব্দ করে বুকের মাঝখান টেনে ছিরে ফেলল সব কটা হুক। বুকের দুপাশে সরিয়ে ফেলে কালো ব্রা এর ওপরে দিয়ে আবার আদর করতে লাগলো। বুকের খাঁজ, স্তনের সাইড, ব্রা এর তলা কোনও কিছুই ওর উদ্যত জিভ থেকে বাদ গেলো না। দিপ্তিকে এবারে টেনে উঠে বসাল ও। গা থেকে টেনে খুলে ফেলল ব্লাউসের অবশিষ্ট অংশ। ব্রা এর বাধনে থাকা দীপ্তির দুধ দুটো ওর নরাচরার সাথে সাথে দুলে দুলে উঠছিল। মনু এবার দীপ্তি কে আমার দিকে মুখ করিয়ে পিছন থেকে জাপটে ধরল। ওর হাতের তালুর মধ্যে স্তন গুলো আঁটছিল না। আর তাতে আরও উত্তেজিত হয়ে আরও জোরে জোরে চটকাতে লাগলো নরম অঙ্গ দুটো ব্রা এর ওপর দিয়েই। আমার বউ এর শরীর মর্দন আমাকে দেখিয়ে ও পাশবিক আনন্দ পাচ্ছিলো বোধহয়, আর আমিও ওকে সেই আনন্দ থেকে বঞ্চিত করছিলাম না। মনুর কদর্য আঙ্গুল গুলো কখনো দীপ্তির বোঁটা টিপে ধরছিল, কখনো ওর বগলের ঘামের স্বাদ নিচ্ছিল আবার কখনো বা নাভির গভীরে প্রবেশ করছিল।
“সঞ্জয়, টেক মাই ফোন ...টেক আ ফিউ স্ন্যাপস ওফ আস”, মনুর হাত এতক্ষনে দীপ্তির ব্রা এর ভিতরে ঢুকে দুধ কচলাতে শুরু করেছে। দীপ্তি ওর মাথা মনুর ঘাড়ে এলিয়ে দিয়েছে, সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ যাকে বলে। আমি বাধ্য ছেলের মতন মনু দেসাই এর আই ফোনে অর্ধ নগ্ন আমার বউ আর ওর ছবি তুলতে লাগলাম। ক্যামেরায় দেখলাম মনুর হাত দীপ্তির নাভির নিচের সায়ার ভিতরে ঢুকে গেছে।
“আহহ আহহ...উম্মম্ম”, চোখ বন্ধ দীপ্তি প্রনাপনে নিজের ঠোঁট কামড়ে ধরেছে দেখলাম। বুঝলাম মনুর আঙ্গুল দীপ্তির যৌনাঙ্গের দুয়ারে খেলা করে বেড়াচ্ছে।
“আমার পুরো হাতই তো ভিজে গেলো রসে, নাইস”, মনু ওর ভেজা হাত দীপ্তির সায়ার ভিতর থেকে বের করে ক্যামেরার সামনে ধরল। আমি বোকার মতন আর একবার ছবি তুল্লাম। এ যেন শুধু অন্যের নির্দেশে নয়, নিজেরও পরিপূর্ণ সায় আছে এই সব কিছু তেই। মনু দীপ্তির ব্রা এর কাপ এর তলা দুটো ধরে টেনে তুলে দিল। ৩৬ডি সাইজের বিরাট মাই দুটো লাফিয়ে বেরিয়ে এসে দুলতে লাগলো। আমি আবার কারোর হুকুম ছাড়াই ছবি তুল্লাম।
“একদম টসটসে তো”, মনু দেসাই নিজের মনে স্বগতোক্তি করে পালা পালা করে দীপ্তির দুটো দুধের খয়েরি বলয় আর বোঁটায় জিভ দিয়ে চাটতে চুষতে কামরাতে লাগলো। দীপ্তির গলা থেকে অস্ফুটে “উম্ম উম্ম” আওয়াজ হচ্ছিলো থেকে থেকে। ওর শরীর নিয়ে মনু যেন খেলা করতে লাগলো। কখনো দুধ ধরে টিপে মুখে পুড়ে দিচ্ছিল, আবার কখনো দুহাতে তুলে ঝাঁকিয়ে দুলিয়ে দিচ্ছিল। দীপ্তি আমার সাথে চোখাচুখি হওয়ার ভয়ে অন্য দিকে মুখ ঘুড়িয়ে রেখেছিল। মনু ওর মুখ টা জোর করে ক্যামেরার দিকে ফিরিয়ে আমাকে ইশারায় ছবি তুলতে বলল। দীপ্তির বা দিকের বুকের বোঁটা নিজের মুখে ঢুকিয়ে আমাকে ইঙ্গিত দিল তোলার। আমি আমার নগ্ন স্ত্রীর যৌন বিহারের ছবি মনুর ক্যামেরায় বন্দি করলাম।
মনু এবার ওর প্যান্ট আর জাঙ্গিয়া টেনে নামিয়ে দিল। থিকথিকে মোটা কালো বাড়া আর ঘন কালো চুলের জঙ্গল বেরিয়ে এলো সামনে। দীপ্তির চোখ দেখলাম বড়বড় হয়ে গেলো। ও হয়তো ভেবেছিল মোটামুটি হয়ে এসেছে। ঘরের এক পাশে রাখা লম্বা সোফা টাতে মনু বসে পড়ে ইশারায় দীপ্তি কে সামনে বসতে বলল। দীপ্তি একবার আমার দিকে করুণ চোখে তাকিয়ে তারপরে হাঁটু গেঁড়ে বসে মনু কিছু বলার আগেই ডান হাতে বাড়া টা ধরে মুখে পুড়ে চোষা শুরু করলো।
“আহা...নাইস...লক্ষ্যি মেয়ে একদম”, মনু একটু ঝুঁকে দীপ্তির ঝুলে পড়া স্তনের আলতো করে দুটো চড় মেরে বলল। আমি জানি দীপ্তি ওড়াল সেক্স একদমি পছন্দ করে না। নিজে নিতে ভালো বাসে কিন্তু আমাকে দিতে চায়না খুব একটা। ওর নাকি ঘেন্না লাগে। আজ কি অদ্ভুত পরিহাস, বাধ্য মেয়ের মতন মন দিয়ে চুষে যাচ্ছে মনু দেসাই এর মোটা বাড়া। ওর মুখের ভিতরেই বাড়া টা ধিরে ধিরে বড় হয়ে উঠল। দীপ্তির গলায় আটকে যাচ্ছিলো প্রায়। এক দুবার তো ওয়াক করে উঠল। মনু ওর ঠাটানো বাড়া দীপ্তির মুখ থেকে বের করে এনে ওর গালে গলায় ঘসে ঘসে দিতে লাগলো। দীপ্তির মাথাআর একটু কাছে টেনে এনে আস্তে আস্তে বলল, “বাকি জায়গা গুলো একটু চেটে পরিষ্কার করে দাও। গরমে বেসে ঘেমে গেছি”।
আমি অবাক চোখে দেখলাম দীপ্তি বিনা বাক্য ব্যায়ে মনুর ঘন বালে ঢাকা বিচি, কুচকুচে কালো ঘামে ভেজা কুঁচকি, লোমশ থাই সব চেটে চেটে খেতে লাগল।
“ওকে হানি... আমার কাছে আর বেশী সময় নেই... এবার তোমায় একটু হিসি করতে হবে যে”, দীপ্তি কে উঠে দাঁড়ানোর ইশারা করে বলল মনু। আমি বা দিপি কেউই মানে বুঝতে পারলাম না। দীপ্তি উঠে দাঁড়াতেই, মনু ওর শাড়ি সায়া তুলে দিল কোমর অবধি তারপর হেঁচকা টানে নামিয়ে আনল কালো ডোরাকাটা প্যানটি টা। সোফার কুশন গুলো সাইডে জড় করে, তাতে হেলান দিয়ে, দু পা ফাক করে শুল মনু দেসাই। আমাদের দুজনেরি বুঝতে বাকি থাকলো না ও কি চাইছে। দীপ্তি একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে শাড়ি সায়া কোমর অবধি তুলে সোফা তে মনুর ওপরে উঠে বসলো। আমি দেখতে পেলাম ওকে নিজের যোনি দ্বার কে মনুর উদ্ধত বাড়া মুখের কাছে নিয়ে যেতে। মনুর আর তোর সইল না। দীপ্তির কোমর ধরে এক টান মেরে নিজের কাছে নিয়ে এলো। “খপ” করে একটা শব্দ করে ওর বাড়া আমুল ঢুকে গেলো আমার বউ এর গুদে। দীপ্তি চোখ বড় বড় করে দুহাতে খামচে ধরল মনু র বুকের লোম। “থপ থপ থপ থপ” শব্দ করে মনু ঠাপাতে লাগলো দীপ্তি কে। কোমরের দোলায় দীপ্তির সারা শরীর এর মাংসে ঢেউ খেলে যেতে লাগলো। বেশী করে ওর ঝোলানো দুধে। মনু দেসাই কুকুরের মতন প্রচণ্ড দ্রুত গতিতে চুদতে লাগলো দীপ্তি কে। আরামে চোখ বুজে আসছিল দীপ্তির, ওর মুখ দিয়ে নানা রকম আওয়াজ বের হচ্ছিলো আর সেগুলো বেশ জোরে জোরেই। সেক্স করার সময় দীপ্তি সচরাচর কোনও শব্দ করে না। কিন্তু আজকে যেন সব ওলট পালট হয়ে যাচ্ছিলো পুরনো হিসেবের।
“আরররঘ... আহহহ... উম্মম্মম... না না না আর না...”দীপ্তি জোর করে দু চোখ চেপে বোলতে থাকলো। মনু ওকে ঠাপাতে ঠাপাতেই একটু উঁচু হয়ে বসে ওর দুধ চোষা শুরু করেছে আবার। শরীরের এর দুই অঙ্গে একসাথে আক্রমণ সামলাতে পারছিল না দীপ্তি। ওর মাথার এলোমেলো চুল মুখ ঢেকে দিয়েছিলো। কপালের সিঁদুর লেপটে গেছে অনেকক্ষণ আগেই। শাঁখা পলা আর চুড়ির জোরালো ছনছন শব্দ আর ওর সীৎকারের প্রতিধ্বনি বোধহয় অফিসের সব জায়গা থেকেই শোনা যাচ্ছিলো। আমি খেয়ালই করিনি কখন নিজের বাড়া বের করে খেঁচা শুরু করেছি।
মনু দেসাই এর অসাধারণ স্ত্যামিনা দেখলাম। অমানুষিক শক্তি তে দীপ্তির পুরো শরীর টাকে আঁকড়ে ধরে নির্বিচারে ঠাপিয়ে চলেছে।
“ওহ মাগো... আহহহহ”, দীপ্তি একটা জোরালো চিৎকার করে উঠল। আমি চমকে দেখলাম ওর পুরো শরীর টা কুঁকড়ে গেলো যেন প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছে। কিন্তু ব্যথায় কাতরাচ্ছে বলে মনে হল না। খুব ধির গতিতে কোমর টা সার্কুলার মোশন এ ঘোরাতে লাগলো। ওর নখ বসে গেছে মনু র কাঁধে। এটাই কি তাহলে অর্গাজম? আমার সাথে তো কোনোদিন হয়নি এরকম ওর? আমি হতভম্বের মতন তাকিয়ে রইলাম মনুর ঘামে লালায় ভেজা আমার বউ এর নগ্ন শরীরের দিকে।
“আহহহ একদম গরম পেচ্ছাপ তো... আর একটু ধর আমিও আসছি”, মনু দীপ্তির গলায় কামড় বসিয়ে চোদার গতি আরও বাড়িয়ে দিল। “থপ থপ থপ” শব্দ টার মধ্যে একটা জোলো ভেজা ভেজা ভাব মিশে গেছে এখন। ওদের দুজনের রসেই ভিজে গেছে দীপ্তির যোনি দ্বার। এবার মনুর গর্জন করার পালা। “আহহ আহহ আহহ” শব্দ করে নিজেকে এলিয়ে দিল মনু। ওর তল পেট দেখলাম কেঁপে কেঁপে উঠল কয়েকবার। নিজেকে উজর করে দিল দীপ্তির ভিতরে। ওরা দুজনে দুজনকে জড়িয়ে শুয়ে থাকলো বেশ খানিকক্ষণ। আমি স্থির হয়ে বসে ওদের দুজনকে দেখতে লাগলাম। এ যেন কোনও পর্ণ মুভির শেষ সিন। ঘড়িতে দেখলাম দশ টা পাঁচ বাজে প্রায়। মনু দীপ্তি কে ঠেলে সরিয়ে উঠে বসলো। মাটিতে পড়ে থাকা দীপ্তির প্যানটি দিয়ে প্রথমে নিজের বাড়া পড়ে দীপ্তির গুদ আর থাই এর মাখামাখি হয়ে থাকে বীর্য রস মুছে দিল। দিপ্তিও উঠে বসে নিজের ব্রা ঠিক করে নিল। ছেঁড়া ব্লাউস টা দিয়ে কোনও মতে লাগানোর চেষ্টা করলো কিন্তু একটা মাত্র হুক বেঁচে ছিল তাতে।
“শি ইজ দা ব্লাডই বেস্ট বিচ আই হাভ এভার ফাকড”, শাড়ি ঠিক করতে থাকা দীপ্তির পাছায় একটা চড় মেরে বলল মনু দেসাই। আমরা দশ মিনিটের মধ্যে ওর অফিস থেকে বেরিয়ে এলাম। আমার চরম আতঙ্কের মধ্যে দেখলাম যে ছেলে ছোকরা গুলো কে দেখেছিলাম আগে তারা সবাই এক জায়গায় জটলা করে মনুর কেবিনের দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। আমরা বেরোতেই হুড়োহুড়ি করে নিজেরা নিজের ডেস্ক এ চলে গেলো।
বাইরে মনুর গাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। গাড়িতে ওঠার আগে দীপ্তির ঠোঁটে সবার সামনেই একটা গভীর চুমু খেল ও। আমরা নিঃশব্দে নিজের গাড়ি তে উঠে বাড়ির পথে রওনা দিলাম। রুপাই হয়তো সোমা বউদির বারিতেই ঘুমিয়ে পড়েছে, এত রাত হয়ে গেছে। বাস্তব জগত টা আবার হুরমুরিয়ে সামনে চলে এলো। জানালার কাঁচ নামিয়ে দিলাম আমি। ঠাণ্ডা হাওয়ার ঝাপটায় মাথা টা যদি একটু ঠাণ্ডা হয়। আড় চোখে দেখলাম ক্লান্ত দীপ্তি ঘুমিয়ে পড়েছে। আর একটা লম্বা রাত হবে আজকের টা...মন বলছে “এই তো সবে শুরু”
মনুর অফিসের পারকিং লট তখন প্রায় ফাঁকা। ঘড়িতে দেখলাম পউনে নটা বাজে। এখান থেকে এয়ারপোর্ট প্রায় আধঘণ্টা। সাড়ে এগারোটার প্লেন ধরতে হলে মনু কে এখান থেকে দশটা সোয়া দশটার মধ্যে বেরিয়ে যেতে হবে। এই দেড় ঘণ্টা কি করবে ও অফিসে? আমি গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ করলাম না, ভাবলাম এখুনি তো বেরিয়ে যাব। কিন্তু ওর মনে অন্য রকম প্ল্যান ছিল। ও দীপ্তি কে সাথে নিয়েই গাড়ি থেকে নামল আর ওর হাত ধরে টানতে টানতে বিল্ডিং এর দিকে হাঁটা দিল। আমিও অগত্যা গাড়ি লক করে ওদের পিছন পিছন ছুট লাগালাম। ওর অফিসের ভিতরে তখনো দুতিন জন ছেলে ছোকরা ছিল। তাদের দু একজন কে আমি চিন্তেও পারলাম। আগের দিন ওদের সাথে আমার ধাক্কাধাক্কি হয়েছিলো। ওরা নিজেদের কিউব থেকে উঠে দাঁড়িয়ে অবাক হয়ে আমাদের কে দেখতে লাগলো। বিস্ত্রস্ত বসনা এক সুন্দরী কে মনু দেসাই হেঁচড়াতে হেঁচড়াতে নিজের কেবিন এর দিকে নিয়ে যাচ্ছে আর তার ফুট দু তিনেক পিছনে আমি বেকুবের মতন ছুটে যাচ্ছি সেটা দেখে দুয়ে দুয়ে চার করতে কারোরই খুব একটা দেরি হওয়ার কথা নয়। মনু নিজের ঘরে ঢুকে ঝড়ের বেগে নিজের সুটকেস গুছিয়ে নিতে লাগল। দীপ্তি ওর টেবিলের এক কোনায় কি করবে বুঝতে না পেরে চুপ করে দাঁড়িয়ে ছিল। আমি দরজা তা বন্ধ করে দিলাম। তারপরে কি মনে হল ওর কেবিন এর কাচের জানালার ব্লাইনডার গুলো নামিয়ে দিলাম। কারণ অফিসের বেশ কিছু উতসুক মুখ উঁকি ঝুঁকি মারছিল দেখতে পারছিলাম। দীপ্তি দেখলাম আমার দিকে ভুরূ কুঁচকে রাগ রাগ চোখে ইশারা করলো কেন আমি সব বন্ধ করে দিলাম। যেন খোলা কাচের জানালাটাই ওর একমাত্র ভরসা আব্রু রাখার জন্যে। কিন্তু মনু দেসাই কে এই কদিনে যেটুকু চিনেছি তাতে এসবের পরোয়া ও করে বলে মনে হয়না। আমাকে ওর বাকি অফিসের লোক জনের সামনে চূড়ান্ত অপমান করতে এক মুহূর্ত ভাববে না।
চার পাচ মিনিটের মধ্যে মনু ওর ব্যাগ গুছিয়ে নিল। গায়ের কোট টা খুলে হ্যাঙ্গার এ ঝুলিয়ে এসি টা ফুল করে দিল। লোক টা দর দর করে ঘামছে উত্তেজনায়। আমি এক কোনায় চেয়ারে বসে পড়লাম। ও কি করতে চলেছে কিছু বুঝতে পারছিলাম না। দীপ্তির মুখের ভাব দেখেও একই জিনিস মনে হল। ও মনুর হাবভাব দেখে আন্দাজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছে এর পড়ে কি হবে।
মনু খুব একটা সময় নষ্ট করলো না। দীপ্তির সামনে এসে দাঁড়িয়ে ওকে কাছে টেনে নিল। তারপরে গুঁফো ঠোঁট গুঁজে দিল দীপ্তির পুরুষ্টু ঠোঁটে। প্রথমে ওর ওপরের ঠোঁটে আলতো আলতো করে কামড়ানোর পর নিচের ঠোঁট টা মুখে ভিতরে ঢুকিয়ে নিল। দীপ্তি চোখ বন্ধ করে নিজেকে ছেড়ে দিয়েছে। ওর দুই হাত মনুর বুকের ওপরে রেখেছে একটু দূরত্ব তৈরি করার জন্য। কিন্তু দূরত্ব মন্র পছন্দ নয়। দীপ্তির লোভনীয় শরীর হাতের মুঠোয় পেয়ে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারছিলনা। দুহাত দিয়ে দীপ্তির গাল চেপে ধরে ওর মুখের ভিতরে নিজের জিভ ঢুকিয়ে দিল। আমার বউ কে আমার সামনে কেউ এভাবে ফ্রেঞ্চ কিস করবে ভাবিনি কখনো। সব কিছুরি প্রথম দিন হয়। দীপ্তি টেবিলের গায়ে হেলান দিয়ে দুহাত ওর ওপরে রেখে নিজের ব্যালান্স রাখার চেষ্টা করলো। মনুর ঠোঁট খাওয়া যেন শেষই হচ্ছিলো না। ঘরের ভিতর টা ওদের চুমু খাওয়ার শব্দে ভরে গেছিলো। আমার ভয় লাগতে শুরু করলো এই আওয়াজ গুলো বাইরে যাচ্ছে নাকি? বাইরের লোক গুলো কি তাহলে বুঝতে পেরে গেলো ভিতরে কি হচ্ছে?
মনু চুমু খাওয়া থামিয়ে দীপ্তির গালে গলায় নাক ঘসে ঘসে গন্ধ শুঁকতে লাগলো। ডান হাত দিয়ে আচলের তলা দিয়েই বা দিকের স্তন টিপে টিপে ধরতে লাগলো। আমি অনুভব করলাম যে আমার বাড়া প্রচণ্ড উত্তেজিত হয়ে নিজের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে। আচলের আবরন বেশীক্ষণ টিকলো না। টাইট ব্লাউসে কোনও মতে আটকে থাকা দীপ্তির বিরাট স্তন যুগল কে উন্মোচিত করে আঁচল খসে পড়ল। দীপ্তির বুক হাপরের মতন ওঠা নামা করছে। অপার্থিব লাগছিল ওর নরম বুকের নড়াচড়া, নগ্ন নাভির কম্পন দেখতে। মনে হচ্ছিলো যেন কোনও সিনেমা দেখছি। মনুর ঠোঁট দীপ্তির গলায় ছোটো ছোটো কামড়ের দাগ করতে করতে বুকের গভীর খাঁজে নেমে এলো। দুহাতে দীপ্তির দুটো দুধ ব্লাউসের ওপর দিয়েও খুব জোরে জোরে টিপতে টিপতে বুকের মাংসে দাঁত বসাতে লাগলো পাগলের মতন। দীপ্তি বুক নাড়িয়ে চাড়িয়ে মনুর হাত স্তন থেকে ঝেড়ে ফেলার ব্যর্থ চেষ্টা করে যেতে লাগলো। মনু দীপ্তি কে চিত করে শুইয়ে দিল ওর টেবিলে। মনুর লালসাসিক্ত দাঁত আর জিভ দীপ্তির নাভির চারপাশে একের পর এক কামড় বসাতে লাগলো যেন মাংস ছিরে খাবে। ওর দুহাত তখনো দীপ্তির বুকের ওপরে সজোরে টিপে যাচ্ছে নরম মাই।
“আহহহ ব্যথা লাগছে...”, দীপ্তি একবার ককিয়ে উঠল। কথা টা মনুর কানে গেলো কিনা জানিনা, টেপা বন্ধ করে আবার ও দীপ্তির বুকের কাছে উঠে গেলো। ব্লাউসের ওপর দিয়েও কামরাতে চুষতে শুরু করলো ওর বুক। ওর লালায় ভিজে যেতে দেখলাম দীপ্তির জামা, বুক। বেশ কিছুক্ষন ব্লাউস নিয়ে খেলা করার পর ওর মন ভরে গেলো বোধহয়, পড়পড় শব্দ করে বুকের মাঝখান টেনে ছিরে ফেলল সব কটা হুক। বুকের দুপাশে সরিয়ে ফেলে কালো ব্রা এর ওপরে দিয়ে আবার আদর করতে লাগলো। বুকের খাঁজ, স্তনের সাইড, ব্রা এর তলা কোনও কিছুই ওর উদ্যত জিভ থেকে বাদ গেলো না। দিপ্তিকে এবারে টেনে উঠে বসাল ও। গা থেকে টেনে খুলে ফেলল ব্লাউসের অবশিষ্ট অংশ। ব্রা এর বাধনে থাকা দীপ্তির দুধ দুটো ওর নরাচরার সাথে সাথে দুলে দুলে উঠছিল। মনু এবার দীপ্তি কে আমার দিকে মুখ করিয়ে পিছন থেকে জাপটে ধরল। ওর হাতের তালুর মধ্যে স্তন গুলো আঁটছিল না। আর তাতে আরও উত্তেজিত হয়ে আরও জোরে জোরে চটকাতে লাগলো নরম অঙ্গ দুটো ব্রা এর ওপর দিয়েই। আমার বউ এর শরীর মর্দন আমাকে দেখিয়ে ও পাশবিক আনন্দ পাচ্ছিলো বোধহয়, আর আমিও ওকে সেই আনন্দ থেকে বঞ্চিত করছিলাম না। মনুর কদর্য আঙ্গুল গুলো কখনো দীপ্তির বোঁটা টিপে ধরছিল, কখনো ওর বগলের ঘামের স্বাদ নিচ্ছিল আবার কখনো বা নাভির গভীরে প্রবেশ করছিল।
“সঞ্জয়, টেক মাই ফোন ...টেক আ ফিউ স্ন্যাপস ওফ আস”, মনুর হাত এতক্ষনে দীপ্তির ব্রা এর ভিতরে ঢুকে দুধ কচলাতে শুরু করেছে। দীপ্তি ওর মাথা মনুর ঘাড়ে এলিয়ে দিয়েছে, সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ যাকে বলে। আমি বাধ্য ছেলের মতন মনু দেসাই এর আই ফোনে অর্ধ নগ্ন আমার বউ আর ওর ছবি তুলতে লাগলাম। ক্যামেরায় দেখলাম মনুর হাত দীপ্তির নাভির নিচের সায়ার ভিতরে ঢুকে গেছে।
“আহহ আহহ...উম্মম্ম”, চোখ বন্ধ দীপ্তি প্রনাপনে নিজের ঠোঁট কামড়ে ধরেছে দেখলাম। বুঝলাম মনুর আঙ্গুল দীপ্তির যৌনাঙ্গের দুয়ারে খেলা করে বেড়াচ্ছে।
“আমার পুরো হাতই তো ভিজে গেলো রসে, নাইস”, মনু ওর ভেজা হাত দীপ্তির সায়ার ভিতর থেকে বের করে ক্যামেরার সামনে ধরল। আমি বোকার মতন আর একবার ছবি তুল্লাম। এ যেন শুধু অন্যের নির্দেশে নয়, নিজেরও পরিপূর্ণ সায় আছে এই সব কিছু তেই। মনু দীপ্তির ব্রা এর কাপ এর তলা দুটো ধরে টেনে তুলে দিল। ৩৬ডি সাইজের বিরাট মাই দুটো লাফিয়ে বেরিয়ে এসে দুলতে লাগলো। আমি আবার কারোর হুকুম ছাড়াই ছবি তুল্লাম।
“একদম টসটসে তো”, মনু দেসাই নিজের মনে স্বগতোক্তি করে পালা পালা করে দীপ্তির দুটো দুধের খয়েরি বলয় আর বোঁটায় জিভ দিয়ে চাটতে চুষতে কামরাতে লাগলো। দীপ্তির গলা থেকে অস্ফুটে “উম্ম উম্ম” আওয়াজ হচ্ছিলো থেকে থেকে। ওর শরীর নিয়ে মনু যেন খেলা করতে লাগলো। কখনো দুধ ধরে টিপে মুখে পুড়ে দিচ্ছিল, আবার কখনো দুহাতে তুলে ঝাঁকিয়ে দুলিয়ে দিচ্ছিল। দীপ্তি আমার সাথে চোখাচুখি হওয়ার ভয়ে অন্য দিকে মুখ ঘুড়িয়ে রেখেছিল। মনু ওর মুখ টা জোর করে ক্যামেরার দিকে ফিরিয়ে আমাকে ইশারায় ছবি তুলতে বলল। দীপ্তির বা দিকের বুকের বোঁটা নিজের মুখে ঢুকিয়ে আমাকে ইঙ্গিত দিল তোলার। আমি আমার নগ্ন স্ত্রীর যৌন বিহারের ছবি মনুর ক্যামেরায় বন্দি করলাম।
মনু এবার ওর প্যান্ট আর জাঙ্গিয়া টেনে নামিয়ে দিল। থিকথিকে মোটা কালো বাড়া আর ঘন কালো চুলের জঙ্গল বেরিয়ে এলো সামনে। দীপ্তির চোখ দেখলাম বড়বড় হয়ে গেলো। ও হয়তো ভেবেছিল মোটামুটি হয়ে এসেছে। ঘরের এক পাশে রাখা লম্বা সোফা টাতে মনু বসে পড়ে ইশারায় দীপ্তি কে সামনে বসতে বলল। দীপ্তি একবার আমার দিকে করুণ চোখে তাকিয়ে তারপরে হাঁটু গেঁড়ে বসে মনু কিছু বলার আগেই ডান হাতে বাড়া টা ধরে মুখে পুড়ে চোষা শুরু করলো।
“আহা...নাইস...লক্ষ্যি মেয়ে একদম”, মনু একটু ঝুঁকে দীপ্তির ঝুলে পড়া স্তনের আলতো করে দুটো চড় মেরে বলল। আমি জানি দীপ্তি ওড়াল সেক্স একদমি পছন্দ করে না। নিজে নিতে ভালো বাসে কিন্তু আমাকে দিতে চায়না খুব একটা। ওর নাকি ঘেন্না লাগে। আজ কি অদ্ভুত পরিহাস, বাধ্য মেয়ের মতন মন দিয়ে চুষে যাচ্ছে মনু দেসাই এর মোটা বাড়া। ওর মুখের ভিতরেই বাড়া টা ধিরে ধিরে বড় হয়ে উঠল। দীপ্তির গলায় আটকে যাচ্ছিলো প্রায়। এক দুবার তো ওয়াক করে উঠল। মনু ওর ঠাটানো বাড়া দীপ্তির মুখ থেকে বের করে এনে ওর গালে গলায় ঘসে ঘসে দিতে লাগলো। দীপ্তির মাথাআর একটু কাছে টেনে এনে আস্তে আস্তে বলল, “বাকি জায়গা গুলো একটু চেটে পরিষ্কার করে দাও। গরমে বেসে ঘেমে গেছি”।
আমি অবাক চোখে দেখলাম দীপ্তি বিনা বাক্য ব্যায়ে মনুর ঘন বালে ঢাকা বিচি, কুচকুচে কালো ঘামে ভেজা কুঁচকি, লোমশ থাই সব চেটে চেটে খেতে লাগল।
“ওকে হানি... আমার কাছে আর বেশী সময় নেই... এবার তোমায় একটু হিসি করতে হবে যে”, দীপ্তি কে উঠে দাঁড়ানোর ইশারা করে বলল মনু। আমি বা দিপি কেউই মানে বুঝতে পারলাম না। দীপ্তি উঠে দাঁড়াতেই, মনু ওর শাড়ি সায়া তুলে দিল কোমর অবধি তারপর হেঁচকা টানে নামিয়ে আনল কালো ডোরাকাটা প্যানটি টা। সোফার কুশন গুলো সাইডে জড় করে, তাতে হেলান দিয়ে, দু পা ফাক করে শুল মনু দেসাই। আমাদের দুজনেরি বুঝতে বাকি থাকলো না ও কি চাইছে। দীপ্তি একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে শাড়ি সায়া কোমর অবধি তুলে সোফা তে মনুর ওপরে উঠে বসলো। আমি দেখতে পেলাম ওকে নিজের যোনি দ্বার কে মনুর উদ্ধত বাড়া মুখের কাছে নিয়ে যেতে। মনুর আর তোর সইল না। দীপ্তির কোমর ধরে এক টান মেরে নিজের কাছে নিয়ে এলো। “খপ” করে একটা শব্দ করে ওর বাড়া আমুল ঢুকে গেলো আমার বউ এর গুদে। দীপ্তি চোখ বড় বড় করে দুহাতে খামচে ধরল মনু র বুকের লোম। “থপ থপ থপ থপ” শব্দ করে মনু ঠাপাতে লাগলো দীপ্তি কে। কোমরের দোলায় দীপ্তির সারা শরীর এর মাংসে ঢেউ খেলে যেতে লাগলো। বেশী করে ওর ঝোলানো দুধে। মনু দেসাই কুকুরের মতন প্রচণ্ড দ্রুত গতিতে চুদতে লাগলো দীপ্তি কে। আরামে চোখ বুজে আসছিল দীপ্তির, ওর মুখ দিয়ে নানা রকম আওয়াজ বের হচ্ছিলো আর সেগুলো বেশ জোরে জোরেই। সেক্স করার সময় দীপ্তি সচরাচর কোনও শব্দ করে না। কিন্তু আজকে যেন সব ওলট পালট হয়ে যাচ্ছিলো পুরনো হিসেবের।
“আরররঘ... আহহহ... উম্মম্মম... না না না আর না...”দীপ্তি জোর করে দু চোখ চেপে বোলতে থাকলো। মনু ওকে ঠাপাতে ঠাপাতেই একটু উঁচু হয়ে বসে ওর দুধ চোষা শুরু করেছে আবার। শরীরের এর দুই অঙ্গে একসাথে আক্রমণ সামলাতে পারছিল না দীপ্তি। ওর মাথার এলোমেলো চুল মুখ ঢেকে দিয়েছিলো। কপালের সিঁদুর লেপটে গেছে অনেকক্ষণ আগেই। শাঁখা পলা আর চুড়ির জোরালো ছনছন শব্দ আর ওর সীৎকারের প্রতিধ্বনি বোধহয় অফিসের সব জায়গা থেকেই শোনা যাচ্ছিলো। আমি খেয়ালই করিনি কখন নিজের বাড়া বের করে খেঁচা শুরু করেছি।
মনু দেসাই এর অসাধারণ স্ত্যামিনা দেখলাম। অমানুষিক শক্তি তে দীপ্তির পুরো শরীর টাকে আঁকড়ে ধরে নির্বিচারে ঠাপিয়ে চলেছে।
“ওহ মাগো... আহহহহ”, দীপ্তি একটা জোরালো চিৎকার করে উঠল। আমি চমকে দেখলাম ওর পুরো শরীর টা কুঁকড়ে গেলো যেন প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছে। কিন্তু ব্যথায় কাতরাচ্ছে বলে মনে হল না। খুব ধির গতিতে কোমর টা সার্কুলার মোশন এ ঘোরাতে লাগলো। ওর নখ বসে গেছে মনু র কাঁধে। এটাই কি তাহলে অর্গাজম? আমার সাথে তো কোনোদিন হয়নি এরকম ওর? আমি হতভম্বের মতন তাকিয়ে রইলাম মনুর ঘামে লালায় ভেজা আমার বউ এর নগ্ন শরীরের দিকে।
“আহহহ একদম গরম পেচ্ছাপ তো... আর একটু ধর আমিও আসছি”, মনু দীপ্তির গলায় কামড় বসিয়ে চোদার গতি আরও বাড়িয়ে দিল। “থপ থপ থপ” শব্দ টার মধ্যে একটা জোলো ভেজা ভেজা ভাব মিশে গেছে এখন। ওদের দুজনের রসেই ভিজে গেছে দীপ্তির যোনি দ্বার। এবার মনুর গর্জন করার পালা। “আহহ আহহ আহহ” শব্দ করে নিজেকে এলিয়ে দিল মনু। ওর তল পেট দেখলাম কেঁপে কেঁপে উঠল কয়েকবার। নিজেকে উজর করে দিল দীপ্তির ভিতরে। ওরা দুজনে দুজনকে জড়িয়ে শুয়ে থাকলো বেশ খানিকক্ষণ। আমি স্থির হয়ে বসে ওদের দুজনকে দেখতে লাগলাম। এ যেন কোনও পর্ণ মুভির শেষ সিন। ঘড়িতে দেখলাম দশ টা পাঁচ বাজে প্রায়। মনু দীপ্তি কে ঠেলে সরিয়ে উঠে বসলো। মাটিতে পড়ে থাকা দীপ্তির প্যানটি দিয়ে প্রথমে নিজের বাড়া পড়ে দীপ্তির গুদ আর থাই এর মাখামাখি হয়ে থাকে বীর্য রস মুছে দিল। দিপ্তিও উঠে বসে নিজের ব্রা ঠিক করে নিল। ছেঁড়া ব্লাউস টা দিয়ে কোনও মতে লাগানোর চেষ্টা করলো কিন্তু একটা মাত্র হুক বেঁচে ছিল তাতে।
“শি ইজ দা ব্লাডই বেস্ট বিচ আই হাভ এভার ফাকড”, শাড়ি ঠিক করতে থাকা দীপ্তির পাছায় একটা চড় মেরে বলল মনু দেসাই। আমরা দশ মিনিটের মধ্যে ওর অফিস থেকে বেরিয়ে এলাম। আমার চরম আতঙ্কের মধ্যে দেখলাম যে ছেলে ছোকরা গুলো কে দেখেছিলাম আগে তারা সবাই এক জায়গায় জটলা করে মনুর কেবিনের দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। আমরা বেরোতেই হুড়োহুড়ি করে নিজেরা নিজের ডেস্ক এ চলে গেলো।
বাইরে মনুর গাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। গাড়িতে ওঠার আগে দীপ্তির ঠোঁটে সবার সামনেই একটা গভীর চুমু খেল ও। আমরা নিঃশব্দে নিজের গাড়ি তে উঠে বাড়ির পথে রওনা দিলাম। রুপাই হয়তো সোমা বউদির বারিতেই ঘুমিয়ে পড়েছে, এত রাত হয়ে গেছে। বাস্তব জগত টা আবার হুরমুরিয়ে সামনে চলে এলো। জানালার কাঁচ নামিয়ে দিলাম আমি। ঠাণ্ডা হাওয়ার ঝাপটায় মাথা টা যদি একটু ঠাণ্ডা হয়। আড় চোখে দেখলাম ক্লান্ত দীপ্তি ঘুমিয়ে পড়েছে। আর একটা লম্বা রাত হবে আজকের টা...মন বলছে “এই তো সবে শুরু”
Sign up here with your email
ConversionConversion EmoticonEmoticon